Monday, February 13, 2017

Garo Low-(Succession Law)

DËivwaKvi AvBb(Succession low)

গারো সমাজ মাতৃপ্রধান। বংশধারা পিতার দিক হতে গণনা করা হয়নাবরং মায়ের দিক হতে গণনা করা হয় এবং মেয়েরাই পারিবারিক সম্পত্তির উত্তরাধিকারিনী। ছেলেরা কোনসময় পারিবারিক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতে পারে নাএমনকি বিয়ের আগ মূহুর্ত পর্যন্ত মাতৃগৃহে অবস্থানকালে তারা তাদের নিজ কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে যা কিছু উপার্জন করে তাও তারা নিজের বলে দাবী করতে পারেনা। ছেলে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ী চলে যায় সেখানে নতুন সংসার গড়তে।  সময়ে স্ত্রীর মাহারীর লোকজনেরা তাদেরকে যথাসাধ্য সাহায্য-সহযোগিতা করে থাকে।

একথা সত্য যেবিয়ের পর ছেলে শ্বশুরবাড়ী এবং স্ত্রীর একান্ত আপনজন হয়ে যায়। এক কথায় সেই পরিবারেরই একজন সদস্য হিসাবে গণ্য হয়ে যায়। তখন হতেই সে উক্ত পরিবারের উন্নতি সাধনস্ত্রীর ভরণপোষণ  ছেলেমেয়েদের প্রতিপালনে সচেষ্ট হয়ে ওঠে। কিন্তু তাই বলে সে তার নিজস্ব সত্ত্বা হারিয়ে ফেলেনা। সে তার মাহারী নামেই পরিচিত থাকবে এবং সবসময়েই তার মাহারীর লোকজন তার নিরাপত্তা  ¯^v_©i¶vq  সজাগ থাকবে। যেকোন বিপদ অথবা প্রয়োজনের সময় তারা তার পাশে এসে দাঁড়াবে।

বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে এভাবেই দুই মাহারীর সংযোগ স্থাপিত হয়। বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনের ফলে উভয় মাহারীর মধ্যে যে দুটি প্রধান দায়-দায়িত্ব জন্মায় সেগুলো নিম্নরূপঃ

(স্ত্রী পক্ষের মাহারীর লক্ষ্য থাকবে পরিবারের স্থাবর-অস্থাবর সমুদয় সম্পত্তি যাতে স্ত্রীর কর্তৃত্বাধীনেই থাকে এবং এর কোনরকম অপব্যয় না ঘটে।
(অপরদিকে ¯^vgxi  মাহারী খেয়াল রাখবে বংশানুক্রমে তাদের মাহারী হতেই যেন জামাতা এবং ভাবী উত্তরাধিকারী নির্বাচন করা হয়।

f~m¤úwË msµvš— DËivwaKvi AvBb
পূর্ব পুরুষদের দ্বারা অধিকৃত এবং মালিকানানুযায়ী গারোদের জমিজমা বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত এবং বিভিন্ন নামে পরিচিত হয়ে থাকে।

৩৯আকিংঃ
      আকিং বা এলাকা বলতে আবহমানকাল হতে পারিবারিকভাবে অধিকৃত ভূসম্পত্তিকে বুঝাবে। বংশানুক্রমে এই সম্পত্তির উত্তরাধিকারীত্ব মা হতে মেয়েতে বর্তাবে।
৪০আমাতে (হস্তান্তরিত ভূসম্পত্তি)
      এই ধারায় আকিং নক্‌মা কর্তৃক কারো উপর সন্তুষ্ট হয়ে তাকে কিছু এলাকা দান করে হস্তান্তর করাকে বুঝাবে। এক্ষেত্রে আকিং নক্‌মা উক্ত দানকৃত এলাকার উপর তার সমস্ত কর্তৃত্ব এবং অধিকার প্রত্যাহার করে নিবেযার ফলে নতুন মালিকের উপর ঐসব অধিকার  কর্তৃত্ব পূর্ণমাত্রায় বর্তাবে। ঐক্ষেত্রে বর্তমান মালিক আমাকে নক্‌মা পরিচিত লাভ করবে। অবশ্য বর্তমানে এই নামাকরণে কোন পার্থক্য নাই। বর্তমানে সকল প্রকৃত নক্‌মাই আকিং নক্‌মা হিসাবে পরিচিত।
৪১আমিল্লাম্‌ (তরবারি দ্বারা অর্জিত ভূসম্পত্তি)
      আমিল্লাম্‌ মানে যুদ্ধ জয়ের দ্বারা অধিকৃত জমিকে বুঝাবে। কোন নক্‌মা কর্তৃক যুদ্ধে অন্য নক্‌মাকে পরাজিত করে তার ভূসম্পত্তি দখল করে নিলে আমিল্লাম্‌ হিসাবে গণ্য হবে। অন্যদিকে সরকারী খাস জমিকেও আমিল্লাম্‌ বুঝায়।  জাতীয় জমি যে কেউ তার নিজের জন্য এবং তার পরিবারের লোকজনের জন্য অধিকার করে নিতে পারে এবং জঙ্গল পরিষ্কার করে চাষাবাদ করতে পারে। এরকম জমি যদি আয়তনে বড় হয়ে থাকে তবে আকিং নামে অভিহিত হতে পারে এবং এর মালিককে নক্‌মা অভিহিত করা যাবে। বর্তমানে এরকম জমির মালিককে নক্‌মা বলে অভিহিত করা হয়না বটে কিন্তু প্রকৃত নক্‌মার সকল ক্ষমতা এবং সুবিধাদি তারা ভোগ করে থাকে।
৪২নক্‌নি আবা (গৃহকর প্রদানযোগ্য জমি)
      গারোরা ঝুম পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে থাকে। ঝুম চাষের জন্য প্রতিটি পরিবারকে একেকটি খন্ড জমি প্রদান করা হয়। ঐরকম অনেকগুলো জমির mgš^‡q  আকিং গঠিত হয়। সাধারণতঝুম পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে প্রতিবছর নূতন নূতন জমি পরিবর্তন করতে হয়তা না হলে জমিতে রীতিমতো ফসল উৎপন্ন হয়না। কিন্তু কোন কোন জমির অত্যধিক উর্বরতার কারণে ফসল ভাল জন্মালে এবং জমিটি বসবাসের উপযোগি হলে সেখানে অনেকেই স্থায়ীভাবে বসবাস করতে আরম্ভ করে এবং ¯^vfvweKfv‡eB  জমিটি তাদের দখলে চলে যায়  বংশানুক্রমে ভোগদখলের অধিকার ¯^xK…Z হয়। অবশ্যই  জাতীয় জমি কোনরকম         হস্তান্তরযোগ্য নহে। জমির ভোগ-দখল বাবদ কোন খাজনা তাদেরকে দিতে হয়না কিন্তু গৃহকর বাবদ তারা প্রতিবছর সরকারকে কিছু টাকা প্রদান করে থাকে।  জাতীয় জমির উপর মাহারীর কোন অধিকার অথবা নিয়ন্ত্রণ থাকে না।  শ্রেণীর জমিকে নক্‌নি আবা বলা হয়।
৪৩সরকারী আবা (খাজনা প্রদানযোগ্য ভূসম্পত্তি)
      আকিং এলাকার জমি ব্যতিত জেলার অন্যান্য জমি সরকারের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকে। এর কিছু অংশ সংরক্ষিত বনভূমিকিছু অংশ স্থানীয় অধিবাসীদের দখলে এবং কিছু অংশ ব্যক্তি বিশেষকে বন্দোবস্ত দেয়া হয়ে থাকে।  ধরণের বন্দোবস্তকৃত জমিকেই স্থায়ীভাবে ধানচাষোপযোগি জমি বলা হয় এবং ঐসব জমির মালিকরা নিজের ইচ্ছানুযায়ী যে কোনরকম হস্তান্তর অথবা বিক্রি করতে পারে। পূর্বোক্ত ধারায় বর্ণিত গৃহকর প্রদানযোগ্য জমিকেও সরকার ইচ্ছা করলে আকিং নক্‌মার নিকট হতে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে এবং জনসাধারণের নিকট বন্দোবস্ত প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার আকিং নক্‌মাকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে এবং উক্ত জমির বন্দোবস্ত গ্রহণকারীকে কবুলিয়ত পাট্টা দলিল প্রদান করবে।
৪৪গাম্‌ (অস্থাবর সম্পত্তি)
      গাম্‌ বলতেসকল প্রকারের অস্থাবর সম্পত্তিকে বুঝাবে। ঐসব সম্পত্তি অথবা দ্রব্যাদি বংশ পরম্পরায় উত্তরাধিকারী সূত্রে প্রাপ্য। রাংগান্‌সারীপকরিকনাকগ্‌দানিলমিল্লামক্রাম প্রভৃতি এবং গৃহের আসবাবপত্র  চাষাবাদের সরঞ্জামাদি ঐসব সম্পত্তির অন্তর্ভূক্ত। ঐসব সম্পত্তির উপর মাহারীর কোন নিয়ন্ত্রণ থাকেনাকিন্তু উল্লেখিত জিনিসগুলো কেউ যদি বিক্রি করে অথবা কোনভাবে হস্তান্তর করে তাহলে তার সুনামের উপর প্রভাব পড়বে এবং AvZ¥xq¯^Rb  তাকে দায়িত্বজ্ঞানহীনকর্তব্যপরাম্মুখ এবং পূর্বপুরুষের স্মৃতিসমূহকে অবজ্ঞাকারী মনে করবে।

৪৫সম্পত্তির শ্রেণী ভাগঃ
      আগেকার দিনে গারো সমাজে উত্তরাধিকারীসূত্রে প্রাপ্ত এবং অধিকৃত সম্পত্তির মধ্যে কোন পার্থক্য ছিলনাতবে বর্তমানে আইন আদালতে আশ্রয় গ্রহণের সুবিধাহেতু উক্ত সম্পত্তিসমূহ আলাদা আলাদা করে দেখানো হয়। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিকে গারোরা বিশেষ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে এবং  জাতীয় সম্পত্তি বিক্রয়যোগ্য বলে বিবেচিত হয়না।
      অন্যদিকে নিজের কষ্টার্জিত ভূসম্পত্তি বিক্রয় অথবা অন্য কোন রকম হস্তান্তরের ক্ষেত্রেও গৃহকর্তাকে গৃহের নক্‌মা এবং নক্রমের সম্মতি নিতে হবে এবং সে সময় তারা যদি অসম্মতি প্রকাশ করে তবে উক্ত ভূসম্পত্তি বিক্রয় অথবা হস্তান্তর করা যাবে না। এক্ষেত্রে মাহারীর স্মরণাপন্ন হতে হবে এবং তারাই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

cyi“‡li AwaKvi

(কোনরকম সম্পত্তি সরাসরিভাবে পুরুষের অধিকারে থাকবেনাযদিও পুরুষ পরিবারের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে পরিগণিত।
(কোন পুরুষ উত্তরাধিকারীসূত্রে কোন সম্পত্তির অধিকারী হবেনা এবং দানসূত্রে অথবা অন্য কোন উপায়ে যদি কোন সম্পত্তি তার অধিকারে আসেতবে সে উহা তার নামে রাখতে পারবেনাকিন্তু সে উহা তার মা অথবা স্ত্রীর কাছে জমা দিবে।
(কোন পুরুষ কাউকে দান অথবা অন্য কোন উপায়ে কোন সম্পত্তি দিতে পারেনাযেহেতু সত্যিকার অর্থে সে কোন সম্পত্তির অধিকারী নহে।
(কোন পুরুষ নিজের কাছে কোন টাকাকড়ি রাখতে পারেনা। তবে কোথাও যাবার জন্য যাত্রা খরচ বাবদ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য উপলক্ষে প্রয়োজনীয় টাকাকড়ি সে নিজের কাছে রাখতে পারে।
৪৬পান্থে গিতা (অবিবাহিত যুবক হিসাবে)
      অবিবাহিত অবস্থায় মাতৃগৃহে থাকাকালে ছেলে যা কিছু উপার্জন করে তা মায়ের অধিকারেই থাকবে। এক্ষেত্রে ছেলে মাতৃগৃহে থাকুক অথবা নাই থাকুক তার উপার্জনের সমুদয় টাকাকড়ি মায়ের সম্পত্তি বলে গণ্য হবে। ছেলে যখন কর্মক্ষম হয়ে উঠে তখন তাকে কিছু পরিমাণ জমি আলাদাভাবে চাষাবাদ করার জন্য দেয়ার প্রথা গারো সমাজে বিদ্যমান। গারোরা সেটিকে আতত্‌ বলে। পরিবারের অন্যান্য কাজকর্ম নিয়মিত করার ফাঁকে ফাঁকে গারো ছেলেরা সেই জমিতে নিজের পছন্দানুযায়ী চাষাবাদ করে ফসল উৎপন্ন করে এবং উৎপন্ন ফসলের বিক্রয়লব্ধ অর্থে তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় ছোটখাটো জিনিসপত্র যেমন-তেলসাবানবইপুস্তক প্রভৃতি নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্রাদি ক্রয় করে। এতে স্পষ্টত: বুঝা যায় যে রকম ব্যক্তিগত ছোটখাটো জিনিসপত্র কেনার ব্যাপারে ¯^vej¤^x  করার উদ্দেশ্যেই গারো পিতামাতা বয়ো:প্রাপ্ত ছেলেদের আতত্‌ দিয়ে থাকে। কোন কোন সময় গারো ছেলেরা অন্যের বাড়ীতে এমনকি অন্য গ্রামেও চুক্তিতে কাজ করে থাকে।  কাজ দুরকমের হতে পারে। যথাঃ (চাকর হিসাবেগারো ভাষায় যাকে চাক্‌কল বলা হয় এবং (গোলাম হিসাবেগারো ভাষায় যাকে নক্‌কল বলা হয়। প্রথমোক্ত ক্ষেত্রে ছেলে তার কাজ বাবদ নির্দিষ্ট বেতন পাবে। সে থেকে নিজের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রাদি কেনার জন্য কিছু পরিমাণ টাকা নিজের কাছে রেখে বাকী সবটুকু টাকা তার মাকে দিয়ে দেবে।
      দ্বিতীয় ক্ষেত্রে অর্থাৎ নক্‌কলের ক্ষেত্রে ছেলে তার বেতনের সমুদয় টাকা তার মাকে দিয়ে দেবে অর্থাৎ কোন দেনা পরিশোধের জন্যই সে নির্দিষ্ট সময় অন্যের বাড়ীতে গোলামী খাট্‌বে। সাবালক ছেলে সম্ভব হলে তার কায়িক পরিশ্রমের টাকায় গরু বাছুরও কিনতে পারে। কিন্তু ¯^vfvweKfv‡eB   সেগুলো পরিবারের সম্পত্তি হিসাবে গণ্য হয়ে যাবে। ছেলে যদি নিজের বাড়ীতে বসবাস না করে কোন নিকটাত্মীয় যেমন-বোনমাসী প্রভৃতির বাড়ীতে বসবাস করে তবে তারা উক্ত ছেলের উপার্জিত অর্থসম্পদ ভোগ করতে পারবে। কিন্তু অন্য মাহারীর বাড়ীতে বসবাস করলে সেই মাহারীর লোকজন কোনক্রমেই তা ভোগ করতে পারবে না। ছেলে অবিবাহিত অবস্থায় মারা গেলে অথবা অন্যত্র পলায়ন করলে তার সম্পত্তি তার মায়ের অধিকারে চলে যাবে। অবশ্য ছেলের অসুখ বিসুখের সময় তার চিকিৎসাঔষধপত্র এবং পূজা-পার্বনের সমস্ত ব্যয়ভার মা বহন করবেন। ছেলের অবিবাহিত অবস্থায় মা মারা গেলেও প্রধানতসৎ মা এবং মাহারীর তত্ত্বাবধানেই ছেলেরা থাকে। বর্তমানে অবশ্য এর কিছু কিছু পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। বিশেষ করে মায়ের মৃত্যুর পর ছেলে যদি অন্য কারোর বাড়ীতে গিয়ে বসবাস করতে আরম্ভ করেতবে তার উপর সৎ মায়ের অধিকার অনেকটাই কমে যায়। অতএবদেখা যায় সামাজিক এইসব নিয়ম-কানুনের ফলেই ছেলেরা কোন সময় মায়ের অবাধ্য হতে পারেনা। কারণ সবসময়ই AvZ¥xq¯^Rb  অর্থাৎ মাহারীর লোকজন মায়ের ¯^c‡¶  থাকবে এবং মাহারীর সিদ্ধান্ত বর্তমানকালেও সর্বজনগ্রাহ্য।
৪৭চাওয়ারী গিতা (জামাতা হিসাবে)
      বিয়ের দিন ছেলে তার আতত্‌ হতে উপার্জিত যৎসামান্য নিজস্ব টাকাকড়ি এবং কাপড়-চোপড় নিয়ে শ্বশুরবাড়ীতে চলে যাবে। এর অতিরিক্ত সে কিছুই দাবী করতে পারেনা অথবা নিয়ে যেতে পারেনাএমনকি পিতৃ-মাতৃ গৃহে অবস্থানকালে সে যদিও বিস্তর পরিমাণে রোজগার করেও থাকে। বিয়ের সময় মা-বাবা ইচ্ছে করলে ¯^vfvweK  স্নেহবশতছেলেকে Dc‡XŠKb¯^iƒc  সামান্য কিছু দিয়ে থাকে। বিয়ের দিন ছেলেটি যা কিছু তার সঙ্গে নিয়ে যায় সেসব নতুন সংসারের সম্পদ হয়ে যায় এবং স্ত্রীর অধিকারে চলে যায়। কোন কোন সময় নতুন সংসারে অভাব এবং অসুবিধা দূর করার অভিপ্রায়ে ছেলের মা-বাবা তাদের জমিজমার কিছু অংশ ছেলে এবং বৌকে ধার হিসাবে দিতে পারে। কিন্তু মা-বাবার সম্মতি ব্যতিত ছেলে কোনক্রমেই কোন কিছু গ্রহণ করতে পারেনা। এই ধার নেয়ার ব্যাপারে ছেলে পরবর্তীকালে তার মাকে অথবা তার অবর্তমানে নক্‌নাকে অর্থাৎ পরিবারের উত্তরাধিকারিনী হিসাবে নির্বাচিতা বোনকে পরিশোধ করে দিতে বাধ্য থাকবে। আর ছেলের অবর্তমানে অথবা তার মৃত্যুরপরে তার স্ত্রী অথবা বংশানুক্রমে তার মাহারীর লোকেরা উক্ত ঋণের দায়ে থাকবে।
৪৮মিয়াপা গিতা (¯^vgx অথবা পিতা হিসাবে)
      সারাজীবন ¯^vgx  যা কিছু উপার্জন করে তার সবকিছুই স্ত্রীর অধিকারে থাকবে। কাজেই পুরুষ মূখ্যতপরিবারের ZË¡veavqK¯^iƒ‡cB  পরিগণিত থাকে। পারিবারিক প্রয়োজনে উত্তরাধিকারীসূত্রে প্রাপ্ত কোন মূলধন ব্যবহার করতে হলে ¯^vgxতার স্ত্রীপরিবারের নক্‌নানক্রম এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে মাহারীর সম্মতি নিবে। অবশ্য বর্তমানে পারিবারিক উন্নতিকল্পে কোন সৎকাজে ¯^vgx তার সংসারের মূলধন নিজের ইচ্ছানুসারে ব্যবহার করতে পারেন। এক কথায় নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলে ¯^vgx সংসার পরিচালনায় তার ইচ্ছানুযায়ী সম্পদের ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু যখনই সংসার পরিচালনায় তার অযোগ্যতা প্রকাশ পাবে তখনই মাহারীর লোকেরা তার কাজে হস্তক্ষেপ করবে।
৪৯নক্রম গিতা (পরিবারের উত্তরাধিকারিনী মেয়ের ¯^vgx হিসাবে)
      বিয়ের দিন নক্রম তার সঙ্গে যে সব জিনিসপত্রাদি তার মায়ের বাড়ী হতে আনয়ন করে তৎসমুদয় সে তার শ্বাশুড়ীর নিকট হস্তান্তর করবে এবং শ্বাশুড়ীই আজীবন পরিবারের কর্ত্রী হিসাবে সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করবে। তার মৃত্যুর পর সেগুলোসহ সংসারের যাবতীয় পারিবারিক স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ নক্‌নার উপর অর্থাৎ নক্রমের স্ত্রীর উপর বর্তাবে। এভাবে শ্বশুরও আজীবন পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে।
৫০ওয়াংগিপা পিতা (সৎ পিতা হিসাবে)
      কোন পুরুষ যখন কোন বিধবাকে বিয়ে করে তখন সে ¯^vfvweKfv‡eB উক্ত পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে গণ্য হয়ে যায়। অবশ্য সে উহার বেশী কিছু দাবী করতে পারেনা এবং পরিবারের উন্নয়নমূলক কোন কাজে পরিবারের সম্পদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে মাহারীর অনুমোদন গ্রহণ করা তার অবশ্য কর্তব্য।
৫১জিক্‌ সিআংগিমিন (বিপত্মীক হিসাবে)
      বিপত্মীক ব্যক্তিকে পূনরায় স্ত্রী প্রদান না করা পর্যন্ত সে  বাড়ীতেই থাকবে এবং মাহারীর নিয়ন্ত্রণাধীনে থেকে পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে সংসার পরিচালনা করবে। যদি কোন কারণবশতসে দ্বিতীয়বার দারপরিগ্রহ না করে তবে পারিবারিক সম্পত্তি তত্ত্বাবধানের অধিকার পরিবারের নক্রমের হাতে ন্যস্ত হয়ে যাবে। অন্যদিকে উক্ত বিপত্মীক তার মৃতা স্ত্রীর মাহারীর বাইরে অন্য কাউকে যদি বিয়ে করেতবে সে  পরিবারের কোন কিছু না নিয়ে  গৃহ পরিত্যাগে বাধ্য হবে এবং আখিম্‌ আইন ভঙ্গের অভিযোগে তার প্রথম স্ত্রীর মাহারীকে ,০০০.০০(তিন হাজারটাকা অর্থদন্ড প্রদানে বাধ্য থাকবে।
৫২জিক্‌ সে-ওয়াত্ গ্রিক্‌গিপা (বিবাহ বিচ্ছেদ প্রাপ্ত পুরুষ)
      পারস্পরিক সম্মতিক্রমে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে থাকলে পুরুষ  পরিবারের কোন কিছু গ্রহণ না করে গৃহত্যাগ করবে। স্ত্রীর দোষে যদি বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে থাকে এবং সে যদি উত্তরাধিকারিনীর অধিকারচ্যূতা হয় তবে যেসব ছেলেমেয়ে তার সঙ্গে যেতে চাইবে সেইসব ছেলেমেয়েসহ স্ত্রী গৃহত্যাগ করবে। বাকী ছেলেমেয়েরা বাড়ীতে তাদের পিতার সঙ্গে থেকে যাবে এবং পরিবারের সম্পত্তি সাময়িকভাবে পুরুষের অধিকারেই থাকবে। এক্ষেত্রে গৃহত্যাগিনী স্ত্রীর মাহারীর লোকজন যতদূর সম্ভব তাড়াতাড়ি মাহারী হতে তার জন্য দ্বিতীয় স্ত্রী প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। দোষী স্ত্রীলোকটিকে মাহারীর লোকজন যদি তাড়িয়ে না দেয় এবং পুরুষটি যদি সংশ্লিষ্ট মাহারী হতে অন্য কাউকে পুনর্বিবাহ করতে রাজী না হলে তবে সে  পরিবার এবং গৃহ পরিত্যাগ করে অন্যত্র চলে যেতে পারে। এক্ষেত্রে সে আখিম্‌ আইন ভঙ্গের দায়ে পড়বে না এবং অর্থদন্ড প্রদানও করতে হবে না। উপরন্তু উক্ত গৃহ পরিত্যাগ করে চলে যাবার পর সে তার পছন্দানুযায়ী অন্য যে কাউকে বিয়ে করতে পারবে।
৫৩কাথাংগিপা-গিতা (পলাতক হিসাবে)
      কেউ যদি স্ত্রীকে পরিত্যাগপূর্বক পলায়ন করে তবে সে উক্ত স্ত্রীর সংসার হতে কিছুই নিয়ে যেতে পারবে না। যদি কোন কিছু নিয়েও যায় তবে সে উহা ফেরতদানে বাধ্য থাকবে। আর ফেরতদানের আগেই সে যদি মারা গিয়ে থাকে তবে তার মাহারীর AvZ¥xq¯^Rbiv  উহা ফেরতদানে বাধ্য থাকবে। পুরুষের পলায়নের সঙ্গে সঙ্গে বিবাহ বন্ধন ছিন্ন হয়ে যায় না। অতএব অন্যত্র গিয়ে যা কিছু সে উপার্জন করে উহা তার পরিত্যক্ত স্ত্রী এবং ছেলেমেয়েকে পাঠাতে বাধ্য থাকবে। আর সে যদি ওখানে অন্য মেয়েকে বিয়ে করে তবে আখিম্‌ আইন ভঙ্গের অভিযোগে তার পরিত্যক্ত স্ত্রীকে ,০০০.০০(তিন হাজারটাকা জরিমানা প্রদানে বাধ্য থাকবেসেই সঙ্গে দ্বিতীয় বিবাহের পূর্বদিন পর্যন্ত তার উপার্জিত সমস্ত টাকাকড়ি তার প্রথম স্ত্রী  ছেলেমেয়েদেরকে প্রদানে বাধ্য থাকবে।


No comments: