Monday, April 22, 2013

ভূমি ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভূমিকেন্দ্রীক সমস্যা ও করণীয়


মির্জা মোঃ আজিম হায়দার
উন্নয়ন কর্মী

১৯৫০ সালের জমিদারী অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ত্ব আইনের ৯৭ ধারা বলে আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে পৃথকভাবে চিহ্নিত করা হয়। এই ধারায় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর নাম উলেস্নখ করা হয়েছে। এছাড়াও বৈশিষ্ট্যের আলোকে বাংলাদেশের সমতল ভূমিতে বসবাসরত প্রায় ৪৫ টির মত আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর অসিত্মত্ব খুজে পাওয়া যায়। এই জনগোষ্ঠীর কোন কোনটির অসিত্মত্ত্ব প্রায় বিলিন হতে চলেছে। বাংলাদেশের সমতল ভূমিতে বসবাসকারী আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সঠিক সংখ্যা সম্পর্কিত তথ্য কোথাও নেই। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আদিবাসীদের সংস্কৃতি ও ইতিহাসসহ তাদের জীবনের হারানো অনেক জানা-অজানা বিষয় এর পাশাপাশি বইটিতে ভূমি বিষয়ক তথ্য সম্পৃক্ত করা হয়েছে যা আদিবাসী জনগোষ্ঠী ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন এবং আমাদের জাতীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্যকেও সমৃদ্ধ করবে।
 বাংলাদেশের প্রায় সকল জেলাতে কোন না কোন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস। এর মধ্যে রাজশাহী বিভাগে বসবাস করে সর্বাধিক সংখ্যক সমতলের আদিবাসী। ঢাকা বিভাগের টাংগাইল, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, শেরপুর, নেত্রকোনা জেলাতেও রয়েছে আদিবাসীদের বসবাস। আদিবাসীদের বিভিন্ন গ্রামের আদিবাসী সম্পর্কে জীবন জীবিকা, সংস্কৃতি, ইতিহাস বিষয়ক নানা তথ্য সংগ্রহের সাথে সাথে ভূমি বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এক্ষত্রে ভূমি সংক্রামত্ম সমস্যা, সমস্যার কারণ এবং সমস্যা সমাধানে করণীয় বিষয়গুলো তাদের সাথে আলোচনা করা হয়।

Friday, April 19, 2013


HUMAN TRAFFIKING AND YOUTH MORALITY


Semeion Mrinal Kanti Sangma

Aganchengani: March 2, 1962 was truly turning point in the history of Joyensahi Adibasi Unnayan Parishod in Madhupur. It was on this great day that the Garo peoples was organized social organization. It gives me great pleasure to learn that Joyensahi Adivasi Unnayan Parishod is celebrating 50 Years celebration in this year.

মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম



বাঁধন আরেং

Cultural and Development Society (CDS) গারো শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০২ সাল থেকে কাজ শুরম্ন করে। শেরপুর জেলার শ্রীবরদী এলাকায় ২০১০ সালে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাতীয় পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি মাতৃভাষায় শিক্ষা দান কার্যক্রম চালু করে। এর মধ্য দিয়ে নিজস্ব কারিকিউলাম প্রয়োজনের বিষয়টি গভীরভাবে অনুধাবন করা গিয়েছিল এবং চেষ্টা চলছিল কারিকিউলাম তৈরির। এ অবস্থা থেকেই প্রাক-প্রাথমিক শিশুদের জন্যে ‘ABACHENGANI KI∙TAP’ এবং ‘BISARANGNI GOLPO ARO GOSERONG’ দুটি পাঠ্য বই লেখা হয়। বই দুটি তৈরিতে অনেক মানুষের অবদান রয়েছে। এক্ষেত্রে আমত্মর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ওখঙ)-এর সহযোগিতা খুবই গুরম্নত্বপূর্ণ। কর্মশালা আয়োজনে তাদের অনুদান সহায়তা কাজের গতি বাড়িয়েছে। Garo Lingual Education Interaction Bangladesh (GLEIB) দলের সদস্যগণ কর্মশালায় সহায়তাকারীর দায়িত্ব পালন করেন।
শিশুরা দেখে, শোনে ও বলে শেখে, বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে বই দুটি তৈরী করা হয়েছে। বর্ণমালাগুলো দেখে চিনে বলতে পারবে, ছড়া বলে ও গল্প শোনে আনন্দ পাবে- এভাবেই শিশুরা শিখতে থাকবে। আশা রাখি, বই দুটি গারো শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষার কাজে সহায়ক হবে। কার্যক্রমকে সফল করার জন্যে সহায়তা দানকারী সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতাসহ ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বর্তমানে ২৪টি স্কুলে শিশুদের শিক্ষা দানের কাজে বই দুটি ব্যবহার করা হচ্ছে। আরো অনেক স্কুল থেকে বই-এর জন্যে আবেদন আসছে।

পিপীলিকা বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র সার্চ ইঞ্জিন


পিপীলিকা বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র সার্চ ইঞ্জিন যা বাংলা ও ইংরেজী দুই ভাষাতেই কাজ করতে সক্ষম। এই উন্মুক্ত ওয়েব সার্ভিসটি সারা দেশের সাম্প্রতিক গ্রহণসাধ্য তথ্য অনুসন্ধান করতে সহায়তা করে। এটি দেশের প্রধান বাংলা ও ইংরেজী পত্রিকার সংবাদ, বাংলা ব্লগ, বাংলা উইকিপিডিয়া ও সরকারি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশ্লেষণ ও সংরক্ষণ করে। জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনগুলোর কোনটিতেই বাংলা ভাষার উপর তেমন গুরুত্ব আরোপ করা হয়নি। তাই আমরা বাংলা তথ্য বিশ্লেষণ ও অনুসন্ধানের উপর গুরুত্ব দেয়ার চেষ্টা করেছি।

Wednesday, April 17, 2013

রেভা. ইউজিন ই. হোমরিক, সিএসসি

বাণী
জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সুবর্ণ জয়ন্তী পালন উপলক্ষ্যে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। এতদ্সঙ্গে এই সংগঠনের ৫০ বছর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য একটি ‘‘স্মরণিকা’’ প্রকাশ করতে যাচ্ছে জেনে খুশী হলাম। আমি এই সংগঠনের বর্তমান এবং সাবেক সকল নেতৃবৃন্দ ও কর্মীদের শুভেচ্ছা, স্বাগতম এবং অভিনন্দন জানাই।

‘‘কোপেনহেগেন-কানকুন-ডারবান পরিক্রমা’’ সোমনাথ লাহিড়ী


‘‘কোপেনহেগেন-কানকুন-ডারবান পরিক্রমা’’
সোমনাথ লাহিড়ী
জলবায়ু ভাবনায় বর্তমানে কোমায় আচ্ছন্ন আমাদের রাষ্ট্র বিশেষজ্ঞ, সুশীলসমাজ এবং পরিবেশবাদীরা। কোমা থেকে চেতনা ফিরে আসতে হলে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন সে বিষয়ে চিন্তা, সঠিক পরিকল্পনা, অর্থগহবরে পড়ে দিশেহারা, চারিদিকে শুধু নেই নেই.... আর নেই।

আমার বাবার কথা

মৃতঃ পরেশ চন্দ্র মৃ এর সংক্ষিপ্ত জীবন কথা
মুকুল দারু ( মেয়ে)

আজ থেকে প্রায় আশি পচাঁশি বছর পূর্বে মধুপুরের বন ছিল যখন ভরা যৌবনা, বনবাসীদের সবুজে-শ্যমলে লগলগে সিন্ধ রূপের চোখ ঝলসানো রূপের বহারে প্রকৃতি মুগ্ধ আবেশে থমকে দাঁড়িয়ে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকতো ঠিক সেই সময়ে আমার বাবা মানে জয়েনশাহী আদিবাসীর প্রতিষ্ঠাতা মৃতঃ পরেশ চন্দ্র মৃ এর জন্ম। সাল ছিল তখন ১৯২৯। মধুপুর বাসীগন আদিবাসী জাতীর বর্তমান ও ভবিষৎ প্রজন্মের চেতনাতে চির ভাস্বর করে রাখার জন্যে এই কিংবদন্তি মহা পুরুষকে গারো রাজা